এশিয়া কাপ

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকা – এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে

5/5 - (3 votes)

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকা – এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে

এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর হল এশিয়া কাপ ক্রিকেট। এশিয়া কাপ শুরু করা হয় যেন এশিয়ার ভিতরে থাকা দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় একেক দেশের সাথে। তাই তো ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা (আইসিসির) নিদের্শে এসিসি গঠন করা হয়। এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত টুনামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বা এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে এমন ইতিহাস জানতে চায় ক্রিকেট প্রেমীরা। শুধুমাত্র ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই আর্টিকেল লিখা হয়েছে। এশিয়া কাপ 2022 সময় সূচি পেতে এখানে ক্লিক করুন

এশিয়া কাপ কবে থেকে শুরু হয়?

এশিয়া কাপ হল একদিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। প্রথম এশিয়া কাপ শুরু করা হয় ১৯৮৩ সালে। প্রথম টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এশিয়া কাপ শুরু করা হয় এশিয়া দেশের সুনাম সারা দেশে পৌছে দেওয়ার জন্য। এশিয়ার টুর্নামেন্টের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় তা হল এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল যা সংক্ষেপে বলা হয় (এসিসি)।

এশিয়া কাপ কত বছর পরপর হয়?

এশিয়া দেশের সুনাম এর ধারাবাহিকতায় শুরু করা হয় এশিয়া কপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ প্রতি দুই (২) বছর পরপর আয়োজন করা হয়। কোন সময় এশিয়া কাপের সময়সূচি পরবর্তী করা হয় এসিসির নিদের্শনায়। এশিয়া কাপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এশিয়ার মধ্যে আনন্দ বিরাজ করে। প্রতিটি মানুষ নিজ স্থান থেকে এশিয়া কাপ উৎযাপন করে থাকে।

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকা - এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে
এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকা – এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন লিস্টে।

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন লিস্ট দেওয়া হলে দেখা যাবে ভারত সাতবার (৭) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এশিয়া কাপে সবচেয়ে সফল দল। দ্বিতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা তারা পাঁচবার (৫) এশিয়া কাপ নিয়েছে ও পাকিস্তান দুইবার (২)। এই ছিল এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন তালিকা নিচে আরো বিস্তারিত দেখুন।

এশিয়া কাপ কে কতবার নিয়েছে?

এশিয়া কাপ ১৯৮৪ – প্রথম আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

১৯৮৪ সালে শুরু হয় এশিয়া কাপের শুভ যাত্রা। ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপের প্রথম আসর আয়োজন করেন আরব আমিরাত। এশিয়া কাপ প্রথম যাত্রা শুরু করায় কোন দল এতে অংশ গ্রহন করেনি তিন (৩) দল ছাড়া। এশিয়া কাপের প্রথম আসরের তিনটি (৩) দল হল, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে আগে রাউন্ড রবিন পদ্ধতি চালু না তাকাই যে ক্রিকেট দল দুইটি ম্যাচে জয়লাভ করে তাকে চ্যাম্পিয়ন ধরা হতো। প্রথম এশিয়া কাপের চ্যম্পিয়ন দল ভারত কারন তারা দুই ম্যাচ জিতেছে আর শ্রীলঙ্কা তারা একটি ম্যাচ জিতেছে।

আরো পড়ুন  How Many Times India Won Asia Cup

এশিয়া কাপের প্রথম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ১৯৮৬ – দ্বিতীয় আসর পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর শুরু হয় ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ শুরু করা হয় শ্রীলঙ্কার মাটিতে। এশিয়া কাপে প্রথম বাংলাদেশ যোগ দেয় ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসরে। বাংলাদেশকে নিয়ে এশিয়া কাপে চার (৪) দল খেলার কথা থাকলেও শ্রীলঙ্কার সাথে ভারতের কূটনীতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর বয়কট করে ভারত, পরবর্তীতে তিন দল নিয়ে শুরু করা হয় এশিয়া কাপ ১৯৮৬। ফাইনালে মাঠে নামে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এই ফাইনালে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলা হয়। এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান হারলেও ৬৭ রান করে ম্যাচ অব দি ম্যাচ হন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াদাদ।

এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও রানার্সআপ পাকিস্তান।

এশিয়া কাপ ১৯৮৮ – তৃতীয় আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ ক্রিকেট প্রথম বারের মতো আয়োজন করা হয় বাংলাদেশে। এশিয়া কাপ ১৯৮৮ সালে তৃতীয় আসর শুরু করা হয় বাংলাদেশে। তৃতীয় আসরেও রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ফইনাল নিবার্চন করা হয়। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৭৬ রানের ইনিংস তারা করতে নেমে ৬ উইকেট সহজসরল ভাবে জয় নিচ্ছিত করে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ নিয়েছে। এশিয়া কাপের তৃতীয় আসরে ম্যাচে ৭৬ রান করে ম্যান অব দি ম্যাচ হন নভজাত সিং সিধু।

এশিয়া কাপের তৃতীয় আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ১৯৯০ -১৯৯১ চতুর্থ আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

প্রথম বারের মতো ভারতে আয়োজন করা হয় এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপ ১৯৯০-৯১ সালে চতুর্থ আসর শুরু হয় ভারতে। এশিয়া কাপের চতুর্থ আসর শুরু হওয়ার কথা পাকিস্তানে কিন্তু পাকিস্তানের সাথে ভারতের কূটনীতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় পাকিস্তান এশিয়া কাপ বয়কট করে পরবর্তী এশিয়া কাপের চতুর্থ আসর শুরু করা হয় প্রথম বারের মতো ভারতে। টানা তৃতীয় বার রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ফাইনালে পা রাখে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে আগে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা নিজের পূজিতে সংগ্রহ করে ২০৪ রান। কিন্ত ভারত শ্রীলঙ্কাকে তিন উইকেট হারিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে। ভারত নিজেদের মাঠিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এই আসরে ম্যান অব দি ম্যাচ হন ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন তিনি ফাইনালে অপরাজিত ৫৪ রান করেন।

এশিয়া কাপের চতুর্থ আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ১৯৯৫ – পঞ্চম আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ শুরু হয় আরব আমিরাতে। যা ছিল এশিয়া কাপের পঞ্চম আসর। ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপের পঞ্চম আসরে মোট চারটি দল মাঠে নামে তার হল, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা বরাবরের মতোই আবারও রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ফাইনালে উঠে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাটি করে ২৩০ রান ছুড়ে দেয় ভারতকে। এশিয়া কাপের এটায় ছিল সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ। শ্রীলঙ্কার রান তাড়াতে এদিকে ভারত হতে আট (৮) উইকেট রেখে সহজসরল জয় তুলে নেয়। এই আসরে দ্বিতীয় বারের মত ফাইনালে অপরাজিত ৯০ রান করে ম্যান অব দি ম্যাচ হন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন

আরো পড়ুন  এশিয়া কাপ 2022 সব দলের স্কোয়াড

এশিয়া কাপের পঞ্চম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ১৯৯৭ – ষষ্ঠ আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ ১৯৯৭ সালে ৬ষ্ঠ আসর আয়োজন করা হয় দ্বিতীয় বারের মতো শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপ টানা কয়েক বার ভারতের কাছে হারার পর চতুর্থ বারের মতো ফাইনালে ভারতের দেওয়া ২৩৯ রান থারা করতে নেমে ১৩.১ ওভার হাতে রেখেই শিরোপা জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ আসরে ৮৪ রানে ম্যান অব দি ম্যাচ ঘোষিত হন আতাপাত্তু।

এশিয়া কাপের ষষ্ঠ আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও রানার্সআপ ভারত।

এশিয়া কাপ ২০০০ – সপ্তম আসর পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা

দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপের সপ্তম আসর শুরু হয় বাংলাদেশে। এবার চার দল অংশ গ্রহন করলেও প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে যায় ভারত। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ফাইনালে দ্বিতীয় বারের মতো মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সপ্তম আসরে ফাইনালে আগে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান তারা সংগ্রহ করে ২৭৭ রান। এই রান থাড়া করতে নেমে আতাপাত্তুর সেঞ্চুরির পরেও ২৩৮ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ মাঠিতে এশিয়া কাপ শিরোপা জিতে পাকিস্তান। ৩৯ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো এশিয়া কাপ নিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের সপ্তম আসরে ম্যান অব দি ম্যাচ হন পাকিস্তানের মঈন খান।

এশিয়া কাপের সপ্তম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন পাকিস্তান ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ২০০৪ – অষ্টম আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ দুই (২) বছর পরপর হওয়ার কথা থাকলেও মাঝে অনেক গেফ দিয়ে ২০০৪ সালে এশিয়া কাপের অষ্টম আসর শুরু হয় শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কাতে হতে যাওয়া এশিয়ার কাপের অষ্টম আসরে ছয় (৬) দল মাঠে নামে তারা হল, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও সাথে নতুন করে যুক্ত হয়, হংকং ও আরব আমিরাত। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর থেকে বাংলাদেশ যুক্ত হলেও এই পর্যন্ত কোন ম্যাচ জিতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে হংকংকে ১০৫ রানে হারিয়ে প্রথম বারের মতো এশিয়া কাপে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। আগের আসর থেকে এশিয়া কাপের এই আসরে ছিল ভিন্ন কিছু প্রথম বার ছয় দল অংশ গ্রহন করলে দুই গ্রুপে আলাদা করা হয় তাদের। বাংলাদেশর গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও হংকং। প্রথম রাউন্ড দুই দল বাদে কোলিফায়ার রাউন্ড খেলবে চার দল। চার দল থেকে ফাইনালে উঠে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করেন ২২৮ রান জবাবে ভারত সংগ্রহ করে ২০৩ রান। এশিয়া কাপে অষ্টম আসরে ভারতকে ২৫ রানে হারালো শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল সেরা হন মারভান আতাপাত্তু তিনি ৬৫ রান করেন ভারতের বিপক্ষে।

এশিয়া কাপের অষ্টম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও রানার্সআপ ভারত।

এশিয়া কাপ ২০০৮ – নবম আসর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপের নবম আসর প্রথম বারের মতো শুরু হয় পাকিস্তানে এর আগে চতুর্থ আসর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি, পরবর্তীতে তা ভারতে হয়েছিল। আবারও এশিয়া কাপ শুরু করা হয় ছয় দল নিয়ে। ফাইনালে মাঠে নামে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। জয়সুরিয়ার সেঞ্চুরীতে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ করেন ২৭৩ রান জবাবে মাঠে নামে ভারত কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলিং একশনের সামনে ধারাতে পারেনি ভারতের ব্যাটিং। ফলে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ও চতুর্থ বার চ্যাম্পিয়ান হয় এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা। নবম আসরে ১৩ রান ৬ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরা হন অজন্থা মেন্দিস।

আরো পড়ুন  Asia Cup 2022 all team squad

এশিয়া কাপের নবম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও রানার্সআপ ভারত।

এশিয়া কাপ ২০১০ – দশম আসর ভারত শ্রীলঙ্কা বনাম শ্রীলঙ্কা

২০১০ সালে এশিয়া কাপের নবম আসর শুরু হয় শ্রীলঙ্কাতে চারটি দল নিয়ে। এশিয়া কাপের দশম আসরে ফাইনালে ৮১ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত পাঁচ বার ট্রফি নিয়েছে। এটাই সবচেয়ে বেশি বার শিরোপা নেওয়া দল। দশম আসরে ৬৫ রান নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান পাকিস্তানের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

এশিয়া কাপের দশম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপ ২০১২ – ১১তম আসর ভারত বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান

এশিয়া কাপের ১১ তম আসর শুরু হয় ২০১২ সালে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশে। বাংলাদেশে হওয়া এশিয়া কাপে মোট চারটি দল অংশ গ্রহন করেছে। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে এর আগের চ্যাম্পিয়ন দল ভারত মূল পর্বেই খেলতে পারেনি। ১১ তম আসরে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ১১ তম আসরে পা রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে পারেনি একবারও। ফাইলালে মাত্ররো দুই রানের ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হারে বাংলাদেশে।

এশিয়া কাপের ১১তম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন পাকিস্তান ও রানার্সআপ বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপ ২০১৪ – ১২তম আসর শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান

টানা দ্বিতীয় বারের মতো একসাথে আবারো এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় বাংলাদেশে। এশিয়া কাপ ১২ তম আসরে প্রথম বারের মতো যুক্ত হয় আফগানিস্তান। প্রথম বার এশিয়া কাপ খেলেই বাংলাদেশকে হারায় আফগানিস্তান। ফাইনালে পাকিস্তান ২৬০ রান করলে ৬ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চম বারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জিতে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ ২০১৪ সালে ১০১ রান করে ফাইনাল সেরা হন লাহিরু থিরিমান্নে।

এশিয়া কাপের ১২তম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও রানার্সআপ পাকিস্তান।

এশিয়া কাপ ২০১৬ – ১৩তম আসর ভারত বনাম বাংলাদেশ

পঞ্চম বারের মতো এশিয়া কাপ শুরু হয় বাংলাদেশেএশিয়া কাপের ১৩ তম আসরে দ্বিতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ সাথে প্রতিপক্ষ দল ভারত। বৃষ্টি ভেজা মেগলা রাতে খেলা শুরু হয় ১৫ ওভারে। ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২০ রান যা থাড়া করতে নেমে সাত (৭) বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় ভারত। ৬০ রান করে ম্যাচ সেরা হন শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ ফাইনাল থেকে হারলো বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপের ১৩তম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপ ২০১৮ – ১৪তম আসর ভারত বনাম বাংলাদেশ

২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ১৪ তম আসর শুরু হয় আরব আমিরাতে। পূনরায় আবারও ছয় দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ। টানা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ দল ভারত। ফাইনালে আগের মতোই সহজ জয় তুলে নিয়ে সপ্তম বারের মতো এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ান হয় ভারত। ভারত-ই এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল। বাংলাদেশে তিন বার এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রাখেও শিরোপা জিতার সাধ পায়নি একবারও।

এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের ফলাফলঃ চ্যম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ বাংলাদেশ।

২০২২ সালে এশিয়া কাপ শুরু হবে আরব আমিরাতে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের কথা থাকলেও রাজনৈতিক ইসুর কারনে তা আরব আমিরাতে আয়োজন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!