ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ফুটবল জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, যিনি তার অসাধারণ গোল করার ক্ষমতা, দুর্দান্ত ফিটনেস এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তবে, তার ক্যারিয়ারে কিছু বিতর্কিত মুহূর্তও রয়েছে, যার মধ্যে লাল কার্ড একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। খেলা১৮ এর এই নিবন্ধে আমরা রোনালদোর ক্যারিয়ারে প্রাপ্ত লাল কার্ডের সংখ্যা, সেগুলোর প্রেক্ষাপট এবং এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রোনালদোর লাল কার্ড কয়টি
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ সালে জন্ম নেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার ক্যারিয়ার জুড়ে সর্বমোট ৫ টা ক্লাব ও জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছেন ৯ বার এবং পর পর দুইটি হলুদ কার্ড দেখে এক ম্যাচ বাদ পড়েছেন ৪ বার যা লাল কার্ডের সমান। অর্থাৎ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোের মোট লাল কার্ডের পরিমাণ ১৩ টি। চলুন দেখে আসি সেই সকল লাল কার্ডের সময়কাল ও বিস্তারিত।
রোনালদোর লাল কার্ড কার্ডের তালিকা
একনজরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সকল লাল কার্ডের ম্যাচের তারিখ প্রতিপক্ষ, ম্যাচের ফলাফল ও কত মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর লাল কার্ড পেয়েছিলো তা দেওয়া হল।
| ক্রমিক | তারিখ | ম্যাচ | মিনিট |
|---|---|---|---|
| #১ | ১৫ মে ২০০৪ | অ্যাস্টন ভিলা ০-২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৮৫ |
| #২ | ১৪ জানুয়ারি ২০০৬ | ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৬৬ |
| #৩ | ১৫ আগস্ট ২০০৭ | পোর্টসমাউথ ১-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৮৫ |
| #৪ | ৩০ নভেম্বর ২০০৮ | ম্যানচেস্টার সিটি ০-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৬৮ |
| #৫ | ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | রিয়াল মাদ্রিদ ৪-২ আলমেরিয়া | ৮৭ |
| #৬ | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ | রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ মালাগা | ৭০ |
| #৭ | ১৭ মে ২০১৩ | অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ২-১ রিয়াল মাদ্রিদ | ১১৫ |
| #৮ | ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | অ্যাথলেটিক ক্লাব ১-১ রিয়াল মাদ্রিদ | ৭৫ |
| #৯ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ | কর্ডোবা ১-২ রিয়াল মাদ্রিদ | ৮৩ |
| #১০ | ১৩ আগস্ট ২০১৭ | বার্সেলোনা ১-৩ রিয়াল মাদ্রিদ | ৮২ |
| #১১ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ভ্যালেন্সিয়া ০-২ জুভেন্টাস | ২৯ |
| #১২ | ৮ এপ্রিল ২০২৪ | আল হিলাল ২-১ আল নাসর | ৮৬ |
| #১৩ | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | পর্তুগাল ০- ২ আয়ারল্যান্ড | ৬১ |
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রথম লাল কার্ড
১৫ই মে ২০০৪ সালে এস্টন ভিলার ঘরের মাঠে এস্টন ভিলা বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মধ্যকার ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে দারুন এক শটে গোল করে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যাচ শেষের মাত্র ৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ৮৫ মিনিটে একটি হলুদ কার্ড পায় এবং পূর্বের একটি হলুন কার্ডের জন্য তাকে প্রথমবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় এটাই ছিলো রোনালদোর ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বিতীয় লাল কার্ড
১৪ই জানুয়ারি ২০০৬ সালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাঠে নামে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের প্রথমার্ধে টানা ২ গোল ৩২” ও ৩৯” মিনিটে গোল খাওয়ার পর মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর পর শেষার্ধে মাঠে নেমে ৬৬ মিনিটে এক ফাওলের কারনে প্রথমবার সরাসরি লাল কার্ডের দেখা পায় পর্তুগিজ এই তারকা। যদিও ৭৬ মিনিটে একটা গোলের দেখা পায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তবে দল পরাজিত হয় ২-১ গোলে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর তৃতীয় লাল কার্ড
১৫ই আগস্ট ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের ক্লাব পোর্টসমাউথ এর বিপক্ষে খেলার সময় ৮৫ মিনিটে লাল কার্ডের দেখা পায় রোনালদো। যদিও তার ঠিক ২ মিনিট আগে অর্থাৎ ৮৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছিলো পোর্টসমাউথ এর খেলোয়াড় সুলি মুনতারি। এই ম্যাচে ১-১ গোলে ড্রা করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরু থেকে ভাল ফুটবল খেলছিলো, তবে ৮৩ মিনিটে পোর্টসমাউথ এর খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখার কারনে ম্যাচের মধ্যে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। যার ফলে সামান্য ফাউলের কারনে ৮৫ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লাল কার্ড দেখে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চতুর্থ লাল কার্ড
৩০শে নভেম্বর ২০০৮ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলার সময় ৬৮ মিনিটে লাল কার্ডের দেখা পায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর আগে ১৪ই জানুয়ারি ২০০৬ সালে আরও একবার লাল কার্ড পেয়েছিলো তিনি এই ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। এই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৫৩.৮ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ১-০ গোলে জয় পেয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আরও পড়ুনঃ রোনালদোর মোট গোল সংখ্যা কত
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পঞ্চম লাল কার্ড
৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে আলমেরিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় ম্যাচের ৮২ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পঞ্চম লাল কার্ডের দেখা মেলে। হাফ টাইমের আগে ৩১ মিনিটে সারজিও রামোসর গোলে এগিয়ে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে হাফ টাইমের পরে মাঠে নেমে ৫৮ ও ৬২ মিনিটে পর পর দুই গোলে এগিয়ে যায় আলমেরিয়া। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ৭৩ মিনিটে হিগুয়েইন গোলে সমতা ফিরে পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা গোল করার কারনে অতিরিক্ত উদযাপন করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যার ফলে হলুদ কার্ড ও পরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এই লাল কার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ফুটবল ক্যারিয়ারে পঞ্চম লাল কার্ড। যদিও এই ম্যাচে ৪-২ গোলে জয় পায় তার দল রিয়াল মাদ্রিদ।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ষষ্ট লাল কার্ড
২৪ জানুয়ারি ২০১০ সালে স্পেনের ক্লাব মালাগার বিপক্ষে খেলতে নামে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে, এই ম্যাচে তিনি হঠাৎ নায়ক থেকে ভিলেনে পরিণত হয় ম্যাচের ৭০ মিনিটে লাল কার্ড দেখার মাধ্যমে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩৫ ও ৩৯ মিনিটে পর পর দুই গোল করে দলকে লিডে রাখে তিনি। ম্যাচের ৭০ মিনিটে মালাগার প্যাট্রিক জান মিতিলিগার এক ফাউলকে কেন্দ্র করে লাল কার্ড দেখায় রেফারি। এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ গোলে জয় পেলেও দলের প্রান ভোমরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লাল কার্ডের কারনে জয়ের উযাপন অনেকটাই মলিন হয়ে যায়।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সপ্তম লাল কার্ড
১৭ই মে ২০১৩ সালে কোপা দেল রে -র ফাইনাল ম্যাচে লাল ও হলুদ কার্ডের ছড়া ছড়িতে দুর্ভাগ্যবসত প্রথমে হলেদ কার্ড ও পরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় এই ফুটবলের লিজেন্ডকে। ম্যাচের ১৪ মিনিটে রোনালদো গোল করে দলকে কোপা দেল রে -র ফাইনালের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে জয়ের ভাইব দেয়। তবে স্পেনের রেফারী কার্লোস ক্লোস গোমেজ মেতে উঠে লাল ও হলুদ কার্ড নিয়ে। এই ম্যাচে ৭ টা হলুদ কার্ড ও ১ টা লাল কার্ড পায় রিয়াল মাদ্রিদ পক্ষান্তরে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ পায় ৬ টা হলুদ কার্ড ও ১ টা লাল কার্ড। ম্যাচের রোনালদো ৯০+৩ মিনিটে প্রথম লাল কার্ড পায় এবং সর্বশেষ ১১৪ মিনিটে আরও একটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ম্যাচে ২-১ গোলে পরাজিত হয় তার দল।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অষ্টম লাল কার্ড
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে অ্যাথলেটিক ক্লাববের বিপক্ষে খেলার সময় ম্যাচের ৭৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তোলার কারনে প্রথমে হলুদ ও পরে লাল কার্ড দেখায় রেফারী। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা না পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৬৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের প্রথম গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে এবং তার ঠিক ২ মিনিট পর ক্যারিয়ারের অষ্টম লাল কার্ডের দেখা পায় এই কিংবদন্তী।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নবম লাল কার্ড
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সালে স্পেনের এস্তাদিও এল আর্কাঞ্জেল স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ প্রাইমার বিভাগের এই ম্যাচে রোনালদোর নবম লাল কার্ড পায় কর্ডোবা সিএফ এর বিপক্ষে। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৩ মিনিটে কর্ডোবা সিএফ এর নাবিল ঘিলাস ডান পায়ের শটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন। ২৭ মিনিটে করিম বেনজেমা খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শট গোল করে দলকে সমতায় ফিরায় গ্যারেথ বেলের সহায়তায়। প্রথমার্ধে আর কোন দোলের দেখা না পেলেও ম্যাচের রোনালদোর ফাউলকে কেন্দ্র করে গায়ে হাত তোললে, আর তাতেই লাল কার্ডের দেখা পায় তিনি। যদিও দল ২-১ গোলে জয় পায়।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ১০ম লাল কার্ড
এই প্রথমবার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একই সাথে খেলা ম্যাচে লাল কার্ডের দেখে রোনালদোর। ১৩ই আগস্ট ২০১৭ সালে, স্প্যানিশ সুপার কাপের এই ম্যাচে বার্সেলোনার ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৫০ মিনিটে গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদের জেরার্ড পিকের এক শটে। তার ২৭ মিনিট পর অর্থাৎ ম্যাচের ৭৭ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করে দলকে সমতায় ফিরায় লিওনেল মেসি।
মেসির গোলের পর রোনালদো ৮০ মিনিটে গোল করে দলকে আবারো এগিয়ে নিলেও বাড়তি সেলিব্রেশনের কারনে হলুদ কার্ড দেখে তিনি। গোল করের ২ মিনিট পর অর্থাৎ ৮২ মিনিটে আবাড় হোলূড কার্ডের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়। এই ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ১১ তম লাল কার্ড
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলার সময় রোনালদোর ১১তম লাল কার্ড পায়। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে এই প্রথম লাল কার্ড পায় তিনি। ম্যাচের ২৯ মিনিটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে তাকে এই লাল কার্ড দেয় রেফারী ফেলিক্স ব্রাইচ। রোনালদো না থাকলেও প্রথমার্ধে ৪৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৫১ মিনিটে আরও একটা গোল করে ম্যাচ ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ১২তম লাল কার্ড
৫ এপ্রিল ২০২৫ সালে সৌদি প্রো লিগে আল হিলালের বিপক্ষে খেলার সময় ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৬ বছর পর ও সৌদি প্রো লিগে এই প্রথমবার লাল কার্ড দেখায় রেফারী মোহাম্মদ খালেদ আল-হোয়াইশ। ম্যাচের ৬১ ও ৭৫ মিনিটে পর পর দুই গোল করে আগে থেকেই পিছিয়ে থাকে আল নাসের। আল নাসেরর হয়ে ৯০ মিনিটে একটি গোল করেন সাদিও মানে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ১৩ তম লাল কার্ড
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ১৩ই নভেম্বর ২০২৫ সালে রোনালদোর ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ের সম্মুখীন হতে হয়। জাতীয় দলের হয়ে একমাত্র লাল কার্ড দেখেন আয়ারল্যান্ড বিপক্ষে খেলার সময়। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১৭ ও ৪৫ মিনিটে দুই গোলের চাপ নিয়ে মাঠ ছেড়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামে পর্তুগাল।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে অপ্রয়োজনীয় কনুই দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার কারনে রেফারী প্রথমে রোনালদোকে হলুদ কার্ড দেখায়। তার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আয়ারল্যান্ড লাল কার্ডের জন্য আবেদন করে বসে। রেফারী ভিএআর রিভিও দেখে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরকে লাল কার্ড দেখায় ৬১ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছাড়া খেলে কোন রকম গোল দেওয়ার পরিস্থিতি বানাতে না পেরে ২-০ গোলে মাঠ ছাড়তে হয় পর্তুগালকে।
রোনালদোর লাল ও হলুদ কার্ড সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
সেরাদের সেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্পর্কে আপনাদের নানা রকম প্রশ্ন থাকতে পারে এই অংশে একনজরে রোনালদোর লাল ও হলুদ কার্ড সম্পর্কে সকল কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবেন।
রোনালদোর লাল কার্ড কয়টি?
রোনালদোর মোট লাল কার্ড ১২ টি।
রোনালদোর হলুদ কার্ড কয়টি
রোনালদোর হলুদ কার্ড কয়টি ১৬২ টি।
জাতীয় দলে রোনালদোর গোল সংখ্যা কত?
সর্বশেষ তথ্যমতে, জাতীয় দলের হয়ে রোনালদো মোট ২২৬ ম্যাচ খেলে ১৪৩ গোল করেন।
