Info
Trending

শবে বরাত কবে ২০২৩ | শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত

শবে বরাত কবে ২০২৩ইংরেজি ৭ই মার্চ ২০২৩, রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে বাংলাদেশে শবে বরাতের রাতগত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আকাশে আরবি ১৪৪৪ হিজরীর পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে সেই হিসাবে আগামী ৭ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে বাংলাদেশে শবে বরাত নির্ধারিত হয়েছে। শবে বরাত সম্পর্কে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন একদা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহু ওসাল্লাম বলেছিলেন তোমরা শাবান মাসের অর্ধেক হলে ( ১৪ তারিখ) দিবাগত রাত্রে আল্লাহর ইবাদত কর এবং তোমাদের মনে যা ইচ্ছা তা পাওয়ার জন্য আল্লাহর তায়ালার কাছে চাইবে।

শবে বরাত কবে ২০২৩ শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত
শবে বরাত কবে ২০২৩ শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত

শবে বরাত কবে ২০২৩ বাংলাদেশ

ইসলাম ধর্মের শবে বরাত এক মহান তাৎপর্যপূর্ণ রাত এই রাতে আল্লাহ বান্দার মনের ইচ্ছা পূরণ করে থাকেন। শবে বরাতের রাত্রে মুসলমানরা সারা রাত্রি আল্লাহর ইবাদত করেন বিনিময়ে আল্লাহ তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেন। শবে বরাত কবে ২০২৩ কত তারিখে তাই ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে সেই হিসাবে আগামী ৭ই মার্চ ( মঙ্গলবার ) বাংলা ২১ফাল্গুন দিবাগত রাত্রে বাংলাদেশের শবে বরাতের রাত

এই দিন সারারাত বাংলাদেশের মুসলমানরা আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং দিনের বেলায় অর্থাৎ ৮ মার্চ (বুধবার ) সারাদিন রোজা রাখবেন। বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি গত ২২ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়াই ঐদিন থেকেই পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা শুরু করে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে আগামী ৮ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে শবে বরাত পালনের নির্দেশ দিয়েছে।

শবে বরাতের ইবাদত | শবে বরাত কবে ২০২৩ বাংলাদেশ

ইসলাম ধর্মে শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি বরকত ময় রাত। মুসলমানদের মাঝে শবে বরাতের এই বরকতময় রাতটি আসে পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত্রে। আরবি সাবান শব্দের অর্থ মধ্যবর্তী সুস্পষ্ট যেহেতু মাসটি রজব ও রমজান মাসের মধ্যবর্তী তাই এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে সাবান নামে। শবে বরাতের রাত মুসলমানদের জন্য ইবাদতের রাত এই দিন দিবাগত রাতে মুসলমানরা সারারাত ধরে মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে। শবে বরাতের রাতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারারাত লাইলাতুল কদর নামাজ (শবে বরাতের নামাজ), কুরআন তেলাওয়াত ও হাদিস পড়ায় মগ্ন থাকেন।

এরপর পরের দিন অর্থাৎ শবে বরাত রাত্রের পরের দিন মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারাদিন রোজা রাখেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম পবিত্র শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। তিনি পবিত্র শাবান মাস কে রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস হিসেবে পালন করতেন। পবিত্র শাবান মাসে আল্লাহর বরকতময় বিশেষ একটি দোয়া হল ” আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়াবাল্লিগনা রামাদান ” যার অর্থ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।

শবে বরাতের ফজিলত | শবে বরাত কত তারিখ ২০২৩

শবে বরাত শব্দটি একটি ফার্সি শব্দ যেখানে শবে শব্দের অর্থ রাত এবং বরাত শব্দের অর্থ সম্পর্ক ছেদ বা মুক্তি অর্থাৎ শবে বরাত শব্দের অর্থ মুক্তির রাত। আল্লাহ এই রাতে বান্দাদের সব রকমের পাপ থেকে মুক্তি দেন তাই এই রাতের নামকরণ করা হয়েছে শবেবরাত। আল্লাহ শবে বরাতের রাতে বান্দা ক্ষমা চাইলে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন শুধুমাত্র মুশরিক ও হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া। এ প্রসঙ্গে ইবনে মাজাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তয়ালা মধ্য সাবানের রাত ( শবে বরাত)
আত্মপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তার সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করে দেন।

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে আরো হাদীস শরীফে আলী ইবনে আবি তালেব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন মধ্য সাবানের রাত আসে ( শবে বরাত) তখন তোমরা রাত জেগে নামাজ আদায় করবে আর দিনে রোজা পালন করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকরী আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি আমি তাকে সুস্থতা দান করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে।
ইবনে মাজাহ : ১৩৮৮
এ থেকে বোঝাই যায় শবে বরাতের ফজিলত। শবে বরাত প্রত্যেক বান্দার জন্য আল্লাহর দেওয়া কত বড় নেয়ামতের একটি রাত।

শবে বরাতে রোজা রাখা কি জায়েজ | শবে বরাত কবে ২০২৩ বাংলাদেশ

হ্যাঁ, শবে বরাত এর পরের দিন অর্থাৎ শাবান মাসের ১৫ তারিখে সারাদিন রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। হাদিস সূত্র : ইবনে মাজাহ :১৩৮৮।

শবে বরাতের আমলসমূহ নিম্নরূপ

১. শবে বরাতের রাতে নির্দিষ্ট কোন নামাজ ও আমল নেই। সাধারণভাবে যে নিয়মে নফল নামাজ পড়া হয় সেভাবেই নফল নামাজ পড়া।

২. আল্লাহর কাছে প্রচুর পরিমাণে তওবা করা

৩. দুরুদ পড়া

৪. জিকির আযকার করা ও বেশি করে ইস্তেগফার পড়া

৫. কোরআন শরীফ বেশি থেকে বেশি তেলাওয়াত করা

৬. খুব বেশি বেশি করে দোয়া করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা

৭. শবে বরাতের পরের দিন অর্থাৎ শাবান মাসের ১৫ তারিখে সারাদিন রোজা রাখা।

আরো পড়ুন: কপোতাক্ষ নদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আশাকরি শবে বরাত কবে ২০২৩ তা জানতে পেরেছেন আরো কিছু জানতে নিচে কমেন্ট করতে পারেন ধন্যবাদ।

ট্যাগ: শবে বরাত কবে ২০২৩, শবে বরাত কত তারিখে ২০২৩

(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)

3.2/5 - (94 votes)

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button