ইলেকট্রিক চুলার দাম কত বা ইন্ডাকশন চুলার দাম ২০২৫ জানতে দেখুন সম্পূর্ণ পেজটি। আসলে বর্তমান সময়ে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়াই তার বিকল্প হিসেবে ইন্ডাকশন চুলার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । তাছাড়াও গ্যাসের চুলায় রান্না করা থেকে তুলনামূলক অনেক সহজে এবং সাশ্রয়ী ভাবে রান্না করা যায় ইন্ডাকশন চুলাই। কেননা ইন্ডাকশন চুলা ডিজিটাল সিস্টেমে হয় এখানে আগুন লাগার কোন ভয় থাকেনা তাছাড়া ইন্ডাকশন চুলার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল গ্যাসের চুলা থেকে ৪০ শতাংশ কম খরচে একই পরিমাণ রান্না করা যায়। ইন্ডাকশন চুলায় ভোল্টেজ কমানো বাড়ানোর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং খুব দ্রুত সময়েই রান্না সম্পূর্ণ করা যায়। চলুন দেখে আসি কারেন্টের চুলার দাম।

ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫ | ইন্ডাকশন চুলার দাম কত ২০২৫
নতুন বছরে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ইন্ডাকশন চুলার চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে সমানভাবে। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ইন্ডাকশন চুলার মধ্যে সর্বনিম্ন ৩০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০০০ টাকার মূল্যের ইন্ডাকশন চুলা পাওয়া যায়। এ সকল ইলেকট্রিক চুলা গুলোর দাম নির্ভর করে চুলা গুলোর ব্রান্ড ও মডেল এর উপর। বর্তমান বাজারে ইন্ডাকশন চুলা গুলো সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ হহওয়ায় কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই খুবই দ্রুত রান্না করা যায়। চলুন এবার প্রথমে দেখে আসি বাংলাদেশের বাজারে যে সকল ইলেকট্রিক বা ইন্ডাকশন চুলা পাওয়া যায় তাদের কোনটির দাম কত।
মিয়াকো ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫ | ইনফারেট চুলার দাম ২০২৫
মিয়াকো ব্রান্ড বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ইনফারেট ইলেকট্রিক চুলা, যেটি ব্যবহৃত যে কোন হাড়ি পাতিলে রান্না করা যায়। মিয়াকো ইন্ডাকশন TC-R3 মডেলটির দাম ৫১০০ টাকা, মিয়াকো ইনফারেট চুলা TC-R2 মডেলের দাম ৫২০০ টাকা,TC-R3 মডেলের ও দাম ৫১০০ টাকা,TC Marble01 মডেলটির মূল্য ৫০০০ টাকা, TC Marble02 মডেলটির মূল্য ৫০০০ টাকা।
এছাড়াও মিয়াকো ব্রান্ডের আমদানিকৃত নতুন তিনটি মডেল মিয়াকো ইনফারেট DP-777, মিয়াকো ইনফারেট, DP-888 মিয়াকো ইনফারেট DP-999। মিয়াকো ব্রান্ডের নতুন তিনটি মডেলের ইনফারেট চুলার দাম ৪০০০ টাকা করে। এছাড়াও মিয়াকো ইনফারেট চুলার দাম স্থানভেদের এই দাম সামান্য কমবেশি হতে পারে।
ওয়ালটন ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫ | ইন্ডাকশন চুলার দাম কত
ওয়ালটন কোম্পানি বর্তমান বাজারে নিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি নতুন মডেলের ওয়ালটন ইন্ডাকশন চুলা। তারমধ্যে WI-S40 মডেলটির দাম ৩৫৫৫ টাকা, WI-F15 মডেলটির দাম ৪১৩১ টাকা, WI-S35 মডেলটির দাম ৩৫১০ টাকা, WI-S45 মডেলটির দাম ৩৯১৫ টাকা, WI-S37 মডেলটির দাম ৩৩৩০ টাকা, আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ওয়ালটন কোম্পানি সহ বাংলাদেশের যে কোন কোম্পানি নতুন ইলেকট্রিক চুলা আমদানি করলে তার মডেল ও দাম আপডেট করে থাকি। আমাদের দেওয়া দাম থেকে অঞ্চলভেদে সামান্য কমবেশি হতে পারে কেনার আগে অবশ্যই দাম যাচাই করে কিনবেন।
ভিশন ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫ | ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫
বাংলাদেশের বাজারে ভিশন কোম্পানি নিয়ে এলো সবচেয়ে কম দামে ইন্ডাকশন চুলা। এখন মাত্র ২৯৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভিশন- 1206 ECO মডেলের ইন্ডাকশন চুলাটি। এছাড়াও VSN 1204-Border ECO মডেলের ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩৫৮০ টাকা, VSN-XI- 1201- ECO মডেলের ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩১৮৭ টাকা,VSN-XI- 211 মডেলের ইন্ডাকশন চুলার দাম ৩৪৯০ টাকা। VSN-XI- 30A3মডেলের ইনফারেট চুলার দাম ৩৮৩০ টাকা, VSN ইনফারেট 40A3 মডেলটির দাম ৩৯৯০ টাকা।
ইলেকট্রিক চুলার বিদ্যুৎ খরচ | ইনফারেট চুলার দাম ২০২৫
ইলেকট্রিক চুলা যেহেতু বিদ্যুতের সাহায্যে চলে তাই ইলেকট্রিক তুলার বিদ্যুৎ খরচ কেমন তা নিয়ে অনেকে জানতে চান। আসলে ইলেকট্রিক চুলার বিদ্যুৎ খরচ কেমন আসবে নির্ভর করবে আপনার ব্যবহারের উপর। তবে বর্তমান সময়ে গ্যাসের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই তুলনায় ইলেকট্রিক চুলায় রান্নাই খরচ বাঁচাতে সাহায্য করবে। মোটামুটি ভাবে চারজনের সদস্যের পরিবারে ১মাস ইলেকট্রিক চুলায় রান্নার জন্য বিদ্যুৎ খরচ আসতে পারে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। তবে ইলেকট্রিক চুলার ব্যবহারে সঠিক নিয়ম জানা থাকলে এবং কিছুটা সচেতন হলে ইলেকট্রিক চুলার বিদ্যুৎ খরচ আরো কিছুটা কমানো যায়।
ইলেকট্রিক চুলার ব্যবহার | ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারের নিয়ম
বর্তমান সময়ে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়াই ইলেকট্রিক চুলার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার থেকে ক্রয় করা এসব ইলেকট্রিক চুলার ব্যবহারের নিয়ম জানেন না অনেকেই। আর ইলেকট্রিক চুলা যেহেতু কারেন্টে এর মাধ্যমে চলে তাই অবশ্যই ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার আগে তার নিয়ম তথা ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে যারা আবশ্যক।বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া ইলেকট্রিক চুলাগুলি সাধারণত দুই ধরনের হয়।
একটি ইন্ডাকশন চুলা পণ্যটি ইনফারেট চুলা। ইন্ডাকশন চুলা গুলো সাধারণত চুলার সাথে দেওয়া পাতিল ব্যবহার করতে হয় কিন্তু ইনফারেট চুলাই যেকোনো ধরনের ব্যবহৃত পাতিল ব্যবহার করা যায়। তবে ইনফারেট চুলাই যে পাতিলই ব্যবহার করি না কেন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সেটি চুলার যে অংশে তাপ সৃষ্টি করে তার সমান হয়।
অর্থাৎ পাতিলটি যদি ইনফারেট তোলার তাপ সৃষ্টিকারী পাক অপেক্ষা ছোট হয় তাহলে চুলার বডি দ্রুত গরম হয় এছাড়াও রান্না হতে দেরি হয়। ইন্ডাকশন চুলা ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে চুলার সাথে ইলেকট্রিক সংযোগ নিশ্চিত করে চুলাটি অন করতে হবে। তারপর চুলাটির উপর গোল করে যেখানে তাপ সৃষ্টিকারী পাত রয়েছে তার ওপর পাতিল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পাতিলটির নিচের দিক যেন ফ্লাট বা সমান হয়।
চুলার ডানদিকে ভোল্টেজ কম-বেশি করার জন্য যে সুইচ রয়েছে তার মাধ্যমে আপনি চুলার ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।ইলেকট্রিক চুলায় রান্না শেষ হলে সুইচ অফ করেই চুলা মোছার চেষ্টা করবেন না, চুলা ঠান্ডা হলে তারপর কাপড় দিয়ে মুছতে হবে । এছাড়াও ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে ইউটিউব ভিডিও দেখা ।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
