ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন পরিসংখ্যান হেড টু হেড কন দল কতবার জিতেছে অথবা পরিসংখ্যানে বিশ্বকাপ এবং ফ্রেডলি ম্যাচ ও ফিফা কনফেডারেশন কাপে কোন দল বেশি শক্তিশালী ও সফল সকল পরিসংখ্যান দেখে নিন একপলকে।
ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন পরিসংখ্যান হেড টু হেড
ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন পরিসংখ্যান হেড টু হেড মোট ম্যাচ খেলেছে ৬টি। যেখানে ব্রাজিল জয়লাভ করেছে ৫টি ম্যাচে। ব্রাজিলের জয়ের পরিমাণ ৮৩.৩৩%। অন্যদিকে ক্যামেরুন জিতেছে ১টা ম্যাচে। ক্যামেরুনের জয়ের পরিমাণ ১৬.৬৭%।
ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন বিশ্বকাপের মঞ্চে হেড টু হেড মোট দেখা হয়েছে ২বার সর্বপ্রথম ২৪জুন, ১৯৯৪ এবং সর্বশেষ ২৩জুন, ২০১৪ সালে। দুইবারেই ব্রাজিল জয় পায় প্রথম ম্যাচে ০-৩ গোলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১-৪ গোল ব্যাবধানে জয় পায়।
সাল | ম্যাচ | জয়ী দল | স্কোর | প্রতিযোগিতা |
২৪জুন, ১৯৯৪ | ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল | ব্রাজিল | ০-৩ | ফিফা বিশ্বকাপ |
১৩নভেম্বার, ১৯৯৬ | ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন | ব্রাজিল | ২-০ | আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ |
৩১মে, ২০০১ | ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল | ব্রাজিল | ০-২ | ফিফা কনফেডারেশন কাপ |
১৯জুন, ২০০৩ | ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন | ক্যামেরুন | ০-১ | ফিফা কনফেডারেশন কাপ |
২৩জুন, ২০১৪ | ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল | ব্রাজিল | ১-৪ | ফিফা বিশ্বকাপ |
২০নভেম্বার, ২০১৮ | ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল | ব্রাজিল | ০-১ | আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ |
৩ডিসেম্বার, ২০২২ | ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন | পেন্ডিং | আপডেটিং | ফিফা বিশ্বকাপ |
পরিসংখ্যান ব্রাজিলের যত অর্জন
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় নামটি হল ব্রাজিল। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের নাম হচ্ছে ব্রাজিল ন্যাশনাল ফুটবল টিম। ব্রাজিল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২০শে সেপ্টেম্বার ১৯১৪ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বুয়েনস আয়ার্স স্টেডিয়ামে ( আর্জেন্টিনা )। আন্তর্জাতিক প্রথম ম্যাচেই ৩-০ গোলের ব্যাবধানে পারাজিত হয়।
বিশ্বকাপের ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করলে সবচেয়ে সফল দল হল ব্রাজিল। ব্রাজিল একমাত্র দল হিসেবে ১৯৩০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২২টি বিশ্বকাপ আসরের সবকয়টিতে অংশগ্রহণ করে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। যা এখনও পর্যন্ত অন্য কোন দল করতে পারেনি।
পরিসংখ্যান ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় জয়
ব্রাজিল ফুটবল পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় জয় পায় ১০ই এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে সাও পাওলো স্টেডিয়ামে (ব্রাজিল )। বলিভিয়ার বিপক্ষে ১০-০ গোল ব্যাবধানে বিশাল জয়। ব্রাজিল ফুটবল পরিসংখ্যানে আরো একটি বড় জয় রয়েছে ১৪ই মার্চ ১৯৫৭ সালে কলোম্বিয়ার বিপক্ষে লিমা স্টেডিয়াম ( পেরু )। কলোম্বিয়ার ৯-০ গোল ব্যাবধানে জয় ব্রাজিল পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় বড় জয়।
ব্রাজিলের পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় পরাজয়
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পরাজয় ১৮ই সেপ্টেম্বার ১৯২০ সালে ভি দেল মার্ ( চিলি ) স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের বিপক্ষে। ব্রাজিল ০-৬ গোল ব্যাবধানে পরাজিত হয়। ব্রাজিলের আরো একটি বড় পরাজয় ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের মঞ্চে ৮ই জুলাই ২০১৪ সালে বেলো হরিজন্তে স্টেডিয়ামে ( ব্রাজিল ) ৭-১ গোলের ব্যাবধানে এক বিশাল লজ্জার রেকর্ড গড়ে।
বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপ, অলেম্পিক পরিসংখ্যান
ব্রাজিল বিশ্বকাপ কোপা আমেরিকা, ফিফা কনফেডারেশন কাপ ও অলেম্পিক কাপ মিলে সর্বমোট ২২টি শিরোপা ঘরে তোলে। ৫টি বিশ্বকাপ, ৯টি কোপা আমেরিকা, ৪ টি ফিফা কনফেডারেশন কাপ, ফিনোমেনা ও অলেম্পিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২টি করে।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান
ফিফা বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে অংশগ্রহন করাই ব্রাজিল ২২টি আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ব্রাজিল ৭বার ( ১৯৫০, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ ও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ৫বার ( ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে ) শিরোপা ঘরে তোলে।
ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা পরিসংখ্যান
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হল কোপা আমেরিকা। এটি শুরু হয় ১৯১৬ সাল থেকে। ব্রাজিল এখনও পর্যন্ত কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৭ বার যেখান থেকে ২১বার ফাইনাল খেলে ৯বার ( ১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৭, ২০১৯ সালে ) কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ান হয়।
ব্রাজিলের ফিফা কনফেডারেশন কাপ পরিসংখ্যান
ব্রাজিল ফিফা কনফেডারেশন কাপে অংশগ্রহণ করেছে ৭বার। ব্রাজিল সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালে অংশগ্রহণ করে এখনও পর্যন্ত ৪বার ( ১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯, ২০১৩ সালে ) চাম্পিয়ান হয়।
ব্রাজিলের অন্যান্য পরিসংখ্যান
ব্রাজিল ফিনোমেনা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ৩বার এবং চাম্পিয়ান হয় ২বার( ১৯৫২ এবং ১৯৫৬ সালে। এছাড়া অলেম্পিক চাম্পিয়ানে অংশগ্রহণ করে ২বার ( ২০১৬এবং২০২০ সালে ) শিরোপা ঘরে তোলে।
ব্রাজিল ফুটবল দলের বর্তমান অবস্থা
হেড কোচ: তিতে
ক্যাপ্টেন: থিয়াগো সিলভা
সর্বোচ্চ গোল: পেলে ( ৭৭ )
ফিফা কোড: BRA
ফিফা রেংকিং: ১৮৪১.৩
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার।
ডিফেন্ডার: দানিলো, আলেক্স সান্দ্রো, আলেক্স তেলেস, ব্রেমের, এদের মিলিতাও, মার্কুইনোস, থিয়াগো সিলভা।
মিডফিল্ডার: ব্রুনো গুইমারেস, কাসেমিরো, এভার্টন রিবেইরো, ফ্রেড, লুকাস পাকেতা।
ফরোয়ার্ড: রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, পেদ্রো, রাফিনহা, রদ্রিগো, অ্যান্টনি ডস স্যান্টোস ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
ব্রাজিলের লাইন- আপ: ৪-৩-৩ ফরমেশন।
ফুটবলে ক্যামেরুন পরিসংখ্যান
ক্যামেরুন তাদের ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলে ১৯৫৬ সালে কঙ্গোর সাথে। সেই ম্যাচে কঙ্গোর সাথে ক্যামেরুন ৩-২ গোল ব্যাবধানে পরাজিত হয়।
ক্যামেরুন বিশ্বকাপে প্রথম বার খেলার যোগ্যাতা অর্জন করে ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান হেড টু হেড ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে গোল শুন্য ড্রা করে ক্যামেরুন। ঔ একই বিশ্বকাপে বাকী আরো দুটি ম্যাচে ( পোল্যান্ড, ইটালি ) ড্রা করে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়।
ক্যামেরুনের বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান
১৯৮২ সালে বিশ্বকাপে অভিষেকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ক্যামেরুন মোট ৮টি ( ১৯৮২, ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০১০, ২০১৪ সর্বশেষ ২০২২ সালে ) বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ কোয়াটার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কেমেরুন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য পায় ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে। ঐ বিশ্বকাপে ম্যামেরুন গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনা ও রোমানিয়াকে পরাজিত করে শেষ ষোলই জায়গা করে নেয়। শেষ ষোলতে কলোম্বিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কোয়াটার ফাইনালে উঠে ক্যামেরুন। কোয়াটার ফাইনালে ইংল্যান্ডের সাথে ২-৩ গোল ব্যাবধানে পরাজিত হয়ে কোয়াটার ফাইনাল থেকে ছিটিকে পড়ে।
ক্যামেরুন সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপে ক্যামেরুন গ্রুপ পর্বে ৩টি ( ম্যাক্সিকো, ক্রোয়েশিয়া, ব্রাজিল ) ম্যাচে পরাজিত হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়।
ক্যামেরুন বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে ৮টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে ম্যাচ খেলেছে মোট ২৬টি। বিশ্বকাপে ক্যামেরুন এই ২৬ টি ম্যাচ খেলে জয়লাভ করেছে মাত্র ৪টি ম্যাচে। জয়ের পরিমাণ ১৫.৩৮%। বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে ক্যামেরুন পরাজিত হয়েছে ১৩টি ম্যাচে। পরাজয়ের পরিমাণ ৫০%। বাকী ৯টি ম্যাচ ড্রা হয়েছে। ড্রার পরিমাণ ৩৪.৬২%।
ক্যামেরুনের সবচেয়ে বড় জয় ০৭ই এপ্রিল ১৯৬৫ সালে চাদ এর বিপক্ষে ৯-০ গোল ব্যাবধানে। এছাড়া ক্যামেরুনের অন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বড় পরাজয় ( ৪ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে ) দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ৫-০ গোল ব্যাবধানে।
ক্যামেরুন ফুটবল দলের বর্তমান অবস্থা
হেড কোচ: রিগোবার্ট সং
ক্যাপ্টেন: ভিনসেন্ট আবুবাকর
সর্বোচ্চ গোল: স্যামুয়েল ইতো ( ৫৬ )
ফিফা কোড: CMR
ফিফা রেংকিং: ১৪৭১.৪৪ ( ৪৩ নাম্বার )
ক্যামেরুনের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: সাইমন এনগাপান্ডুয়েতনবু, ডেভিস এপাসি, আন্দ্রে ওনানা।
ডিফেন্ডার: নিকোলাস এনকোলো , ক্রিস্টোফার উওহ, নুহো টোলো , অলিভিয়ের এমবাইজো, কলিন্স ফাই, জিন-চার্লস ক্যাসটেলেট্টো, এনজো ইবোসে।
মিডফিল্ডার: অলিভিয়ের এনচাম, পিয়ের কুন্দে, মার্টিন হংলা, স্যামুয়েল গয়েট, গেয়েল ওন্ডুয়া, আন্দ্রে-ফ্রাঙ্ক জাম্বো অ্যাঙ্গুইসা, জেরোম এনগম।
ফরোয়ার্ড: মৌমি এনগামালেউ, জর্জেস-কেভিন এনকৌডু, ভিনসেন্ট আবুবাকর, কার্ল টোকো একামবি, জিন-পিয়েরে এনসামে, ব্রায়ান এমবেউমো, এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং, ক্রিশ্চিয়ান বাসোগগ , মারউ সোয়াইবো।
ক্যামেরুনের লাইন- আপ: ৪-৩-৩ ফরমেশন।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)