Bangla
Trending

যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মূলভাব, মূল বক্তব্য mcq

প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ খ্রিঃ ৭ আগোস্ট পূর্ব বাংলার যশোর জেলায় গন্ম গ্রহন করেন। তার পৈত্রিক নিবাস ছিল পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। প্রমথ চৌধুরীর ছদ্দ নাম বীরবল। তাহলে চলুন দেখে আসি যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মূলভাব এবং মুল বক্তব্য। 

যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মূলভাব

‘ যৌবনে দাও রাজটিকা ‘ প্রবন্ধে সুসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী যৌবনের বন্দনা করেছেন মুক্তকণ্ঠে। তিনি যৌবনকে রাজটিকা পরানাের চেষ্টা করেছেন এই প্রবন্ধে। যৌবন মানুষের জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় । যৌবনে প্রবেশ করে মানুষ খুঁজে পায় জীবনের চরম সার্থকতা। এ সময়েই মানুষের বাহ্যেন্দ্রিয় , কর্মেন্দ্রিয় ও অন্তোরেন্দ্রিয় সবচেয়ে বেশি সজাগ ও সচল থাকে। যৌবন বহন করে অপরিমেয় শক্তি। তাই এই শক্তির যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে যৌনকে সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়ােজন । সেই প্রয়োজনীয়তার কথাই লেখক এই প্রবন্ধে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আমাদের দেশে যৌবনকে বাঁকা চোখে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়ে থাকে ।

যৌবনকে মনে করা হয় একটা মস্তবড় ফাড়া হিসেবে । তাই তার কপালে রাজটিকা পরানাের পরিবর্তে তার পিঠে দেওয়া হয় রাজদন্ড। আমাদের দেশের জ্ঞানীগুণীরা বসত ঋতু ও প্রকৃতির যৌবনকে অশোভন ও শাসনযোগ্য মনে করেন। তাই তারা বাল্য থেকে এক লফে বার্ধক্যে পৌঁছাতে চান । ফলে মিলন ঘটে এক জড়ত্বের সাথে আর এক জড়ত্বের। এ কারণে প্রমথ চৌধুরী বলেছেন , “ আমাদের জীবন গ্রন্থের প্রথমে ভূমিকা আছে , শেষে উপসংহার আছে , ভিতরে কিছু নেই। সৃজনশীল যৌবনের ললাটে রাজটিকা প্রদানে বিশেষ আপত্তি জড়বাদীদের। জড়বাদী জড়ের পূজারি। তাই তারা দেহকে প্রাধান্য দেয়া। যৌবনকে প্রাধান্য দিলেও তা দেহের যৌবনকে মনের যৌবনকে নয়। জড়বাদীরা চায় দেহের জড়তার সাথে মনের জড়তার মিল। মনের যৌবন জীবন প্রবাহকে জাগ্রত করে। একজনের মনের যৌবন অন্যের মনে সঞ্চারিত করা যায়। কিছু জড়বাদীরা মনের পরিবর্তে জড় দেহকে প্রাধান্য দেয়। ফলে মনের যৌবন অস্বীকৃত থেকে যায়- দেহের যৌবন পায় সমাদর। যে যৌবন ভোগের ভোগটুকু শেষ হলেই আয়ুটুকু শেষ; তার বৃদ্ধি নেই , সঞ্চার নেই ; আছে কেবল ক্ষয়। আমরা যে যৌবনকে গোপন করে রাখতে চাই তার জন্য দায়ী আমাদের প্রাচীন সাহিত্য । সংস্কৃত সাহিত্যে দৈহিক যৌবনের বিচিত্র লীলা কলা সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা লক্ষ করা যায়। এই সাহিত্যে যুবক যুবতী ব্যতীত আর কারও স্থান নেই। যৌবনের যে ছবি সংস্কৃত দৃশ্যকাব্যে ফুটে উঠেছে , সে হচ্ছে ভােগবিলাসের চিত্র । সংস্কৃত কাব্যজগৎ মাল্যচন্দন বনিতা দিয়ে গঠিত। আর এ জগতে বনিতাই হচ্ছে স্বর্গ এবং মাল্যচন্দন তার উপসর্গ । এ কাব্য জগতের স্রষ্টা বা দ্রষ্টা কবিদের মতে প্রকৃতির কাজ হচ্ছে শুধু রমণী দেহের উপমা যোগান, পুরুষের কাজ শুধু রমণীর মন যােগান ।

যযাতি নিজের ভােগবিলাস চরিতার্থ করার জন্য পুত্রদের কাছে যে দৈহিক যৌবন ভিক্ষা করেছিলেন সংস্কৃত কবিরা সেই যৌবনেরই রূপগুণ বর্ণনা করেছেন । অর্থাৎ প্রাচীনপন্থি সংস্কৃতসেবীরা যৌবন নিন্দায় পঞ্চমুখ ছিলেন।   কারণ তারা যৌবনকে কেবল ভােগের মোক্ষম সময় বলে মনে করতেন। যৌবন যে সৃষ্টির প্রধানতম বাহন তা তাঁরা জানতেন না। ভােগ ও লালসার মাধ্যম হিসেবে যৌবনকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এঁরা যৌবন ভয়ে ভীত থাকতেন। তাইতাে যযাতি স্বার্থপরতার পরাকাষ্ঠা দেখাতে লজ্জাবােধ করেননি। প্রমথ চৌধুরী সংস্কৃত সাহিত্যের যৌবন চিন্তার ঘাের বিরােধী। তিনি যৌবনকে দেখেছেন প্রাণশক্তি হিসেবে। এ কারণেই তিনি যৌবনের ললাটে রাজটিকা পরানাের কথা বলেছেন। তাঁর মতে , দেহের যৌবনের সাথে মনের যৌবনের একটা যােগাযােগ থাকলেও দৈহিক যৌবন ও মানসিক যৌবন স্বতন্ত্র। এ মানসিক যৌবন লাভ করতে পারলেই আমরা তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারব ।

দেহ সংকীর্ণ ও পরিচ্ছন্ন; মন উদার ও ব্যাপক । একের দেহের যৌবন অপরের দেহে প্রবেশ করিয়ে দেবার জো নেই ; কিন্তু একের মনের যৌবন লক্ষ লােকের মনে সংক্রমণ করে দেওয়া যেতে পারে। তিনি আরাে বলেন , মানসিক যৌবনই সমাজে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের উদ্দেশ্য । আমরা সমগ্র সমাজকে একটা ব্যক্তি হিসেবে দেখলেও আসলে মানবসমাজ হচ্ছে বহুব্যক্তির সমষ্টি । যে সমাজে বহুব্যক্তির মানসিক যৌবন আছে , সেই সমাজেরই যৌবন আছে। দেহের যৌবনের সঙ্গে সঙ্গেই মনের যৌবনের আবির্ভাব হয়। সেই মানসিক যৌবনকে স্থায়ী করতে হলে শৈশব নয় , বার্ধক্যের দেশ আক্রমণ ও অধিকার করতে হবে। দেহের যৌবনের অন্তে বার্ধক্যের রাজ্যে যৌবনের অধিকার বিস্তার করবার শক্তি আমরা সমাজ হতেই সংগ্রহ করতে পারি। প্রমথ চৌধুরী প্রবন্ধের শেষাংশে গিয়ে বলেছেন , ব্যক্তিগত জীবনে ফাল্গুন একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে না ; কিন্তু সমগ্র সমাজে ফাল্গুন চিরদিন বিরাজ করছে । অর্থাৎ দেহের যৌবন ক্ষণস্থায়ী। তা একবার গত হলে আর ফিরে পাওয়া যায় না । কিন্তু মানুষের সমাজে যে মানসিক যৌবন আছে তা অজর , অমর ও অব্যয় । যে মানুষ মানসিক যৌবনে সমৃদ্ধ বার্ধক্য তাকে কাবু করতে পারে না। সুতরাং বয়স দিয়ে যৌবন ও বার্ধক্য পরিমাপ করা ঠিক নয় ।

যার মনে প্রাণশক্তি আছে , সে যুবকই হােক আর বৃদ্ধই হােক সেই প্রকৃত যৌবনের অধিকারী । মনের যৌবনই প্রকৃত যৌবন । যার মনে যৌবন নেই তার দৈহিক যৌবন মূল্যহীন। দেহের যৌবন এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তর করা যায় না ; কিন্তু এক মনের যৌবন অন্যের মনে সঞ্চালন করা সম্ভব । দেহের যৌবন ও মনের যৌবনের মধ্যে তাই পার্থক্য অনেক । দেহের যৌবন ক্ষণস্থায়ী আর মনের যৌবন চিরস্থায়ী। যৌবনকে ভয় পাওয়ার কোনাে কারণ নেই। প্রত্যেকের উচিত যৌবনকে সমাদর করা । যৌবনের কপালে রাজটিকা পরানাের ক্ষেত্রে কোনাে বিতর্ক থাকা অনুচিত। যদি সমাজ দেহে যৌবন শক্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় তবে সমাজ পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পাবে । যে সমাজে যৌবন আছে সেই সমাজ প্রগতির পথে এগিয়ে যায় । তার গতি কেউ রােধ করতে পারে না । আমরা যৌবনসমৃদ্ধ সেই সমাজই প্রত্যাশা করি।

যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মূলভাব, মূল বক্তব্য mcq
যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মূলভাব

যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের মুল বক্তব্য

  যৌবনে দাও রাজটিকা’ প্রবন্ধে সুসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী যৌবনের বন্দনা করেছেন মুক্তকণ্ঠে। তিনি যৌবনকে রাজটিকা পরানাের প্রস্তাব করেছেন এই নিবন্ধে । যৌবন মানুষের জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়। যৌবনে প্রবেশ করে মানুষ খুঁজে পায় জীবনের চরম সার্থকতা। এ সময়েই মানুষের বাহ্যেন্দ্রিয়, কর্মেন্দ্রিয় ও অন্তরেন্দ্রিয় সবচেয়ে বেশি সজাগ ও সচল থাকে। যৌবন বহন করে অপরিমেয় শক্তি। তাই এই শক্তির যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য যৌবনকে সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়ােজন। সেই প্রয়ােজনীয়তার কথাই লেখক এই প্রবন্ধে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

‘যৌবনে দাও রাজটিকা’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যঃ

আমাদের দেশে যৌবনকে বাঁকা চোখে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়ে থাকে। যৌবনকে মনে করা হয় একটা মস্তবড় ফাঁড়া হিসেবে। তাই তার কপালে রাজটিকা পরানাের পরিবর্তে তার পিঠে দেওয়া হয় রাজদণ্ড। আমাদের দেশের জ্ঞানীগুণীরা বসন্ত ঋতু ও প্রকৃতির যৌবনকে অশােভন ও শাসনযােগ্য মনে করেন। তাই তারা বাল্য থেকে এক লাফে বার্ধক্যে পৌঁছাতে চান। ফলে মিলন ঘটে এক জড়ত্বের সাথে আর এক জড়ত্বের। এ কারণে প্রমথ চৌধুরী বলেছেন :

“আমাদের জীবন গ্রন্থের প্রথমে ভূমিকা আছে, শেষে উপসংহার আছে, ভিতরে কিছু নেই।”

সৃজনশীল যৌবনের ললাটে রাজটিকা প্রদানে বিশেষ আপত্তি জড়বাদীদের। জড়বাদী জড়ের পূজারি। তাই তারা দেহকে প্রাধান্য দেয়। যৌবনকে প্রাধান্য দিলেও তা দেহের যৌবনকে মনের যৌবনকে নয়। জড়বাদীরা চায় দেহের জড়তার সাথে মনের জড়তার মিল। মনের যৌবন জীবন প্রবাহকে জাগ্রত করে। একজনের মনের যৌবন অন্যের মনে সঞ্চারিত করা যায়। কিন্তু জড়বাদীরা মনের পরিবর্তে জড় দেহকে প্রাধান্য দেয়। ফলে মনের যৌবন অস্বীকৃত থেকে যায়- দেহের যৌবন পায় সমাদর।যে যৌবন ভােগের ভােগটুকু শেষ হলেই তার আয়ুটুকু শেষ তার বৃদ্ধি নেই, সঞ্চারণ নেই; আছে কেবল ক্ষয়। আমরা যে যৌবনকে গােপন করে রাখতে চাই তার জন্য দায়ী আমাদের প্রাচীন সাহিত্য। সংস্কৃত সাহিত্যে দৈহিক যৌবনের বিচিত্র লীলা কলা সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা লক্ষ করা যায়। এ সাহিত্যে যুবক যুবতী ব্যতীত আর কারও স্থান নেই। যৌবনের যে ছবি সংস্কত দৃশ্যকাব্যে ফুটে উঠেছে, সে হচ্ছে ভােগবিলাসের চিত্র। সংস্কৃত কাব্যজগৎ মাল্যচন্দন বনিতা দিয়ে গঠিত। আর এ জগতে বনিতারাই হচ্ছে স্বর্গ এবং মাল্যচন্দন তার উপসর্গ। এ কাব্য জগতের স্রষ্টা বা দ্রষ্টা কবিদের মতে প্রকৃতির কাজ হচ্ছে শুধু রমণী দেহের উপমা যােগান, পুরুষের কাজ শুধু রমণীর মন যােগান। যযাতি নিজের ভােগবিলাস চরিতার্থ করার জন্য পুত্রদের কাছে যে দৈহিক যৌবন ভিক্ষা করেছিলেন সংস্কৃত কবিরা সেই যৌবনেরই রূপগুণ বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ প্রাচীনপন্থি সংস্কৃতসেবীরা যৌবন নিন্দায় পঞ্চমুখ ছিলেন। কারণ তারা যৌবনকে কেবল ভােগের মােক্ষম সময় বলে মনে করতেন। যৌবন যে সৃষ্টির প্রধানতম বাহন তা তারা জানতেন না। ভােগ ও লালসার মাধ্যম হিসেবে যৌবনকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এরা যৌবন ভয়ে ভীত থাকতেন। তাইতাে যযাতি স্বার্থপরতার পরাকাষ্ঠা দেখাতে লজ্জাবােধ করেননি। প্রমথ চৌধুরী সংস্কৃত সাহিত্যের যৌবন চিন্তার ঘাের বিরােধী। তিনি যৌবনকে দেখেছেন প্রাণশক্তি হিসেবে। এ কারণেই তিনি যৌবনের ললাটে রাজটিকা পরানাের কথা বলেছেন। তার মতে,

“দেহের যৌবনের সাথে মনের যৌবনের একটা যােগাযােগ থাকলেও দৈহিক যৌবন ও মানসিক যৌবন স্বতন্ত্র। এ মানসিক যৌবন লাভ করতে পারলেই আমরা তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। দেহ সংকীর্ণ ও পরিচ্ছন্ন; মন উদার ও ব্যাপক। একের দেহের যৌবন অপরের দেহে প্রবেশ করিয়ে দেবার জো নেই; কিন্তু একের মনের যৌবন লক্ষ লােকের মনে সংক্রমণ করে দেওয়া যেতে পারে।”

তিনি বলেনঃ

“মানসিক যৌবনই সমাজে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা সমগ্র সমাজকে একটা ব্যক্তি হিসেবে দেখলেও আসলে মানবসমাজ হচ্ছে বহুব্যক্তির সমষ্টি। যে সমাজে বহুব্যক্তির মানসিক যৌবন আছে, সেই সমাজেরই যৌবন আছে। দেহের যৌবনের সঙ্গে সঙ্গেই মনের যৌবনের আবির্ভাব হয়। সেই মানসিক যৌবনকে স্থায়ী করতে হলে শৈশব নয়, বার্ধক্যের দেশ আক্রমণ ও অধিকার করতে হবে। দেহের যৌবনের অন্তে বার্ধক্যের রাজ্যে যৌবনের অধিকার বিস্তার করবার শক্তি আমরা সমাজ হতেই সংগ্রহ করতে পারি।”

প্রমথ চৌধুরী প্রবন্ধের শেষাংশে গিয়ে বলেছেন,

“ব্যক্তিগত জীবনে ফাল্গুন একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে না; কিন্তু সমগ্র সমাজে ফাল্গুন চিরদিন বিরাজ করছে।”

অর্থাৎ দেহের যৌবন ক্ষণস্থায়ী। তা একবার গত হলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু মানুষের সমাজে যে মানসিক যৌবন আছে তা অজর, অমর ও অব্যয়। যে মানুষ মানসিক যৌবনে সমৃদ্ধ বার্ধক্য তাকে কাবু করতে পারে না। সুতরাং বয়স দিয়ে যৌবন ও বার্ধক্য পরিমাপ করা ঠিক নয়। যার মনে প্রাণশক্তি আছে, সে যুবকই হােক আর বৃদ্ধই হােক। সেই প্রকৃত যৌবনের অধিকারী, যৌবনের পূজারি। যৌবনে দাও রাজটিকা’ প্রবন্ধের সার্বিক মন্তব্যঃ মনের যৌবনই প্রকৃত যৌবন। যার মনে যৌবন নেই তার দৈহিক যৌবন মূল্যহীন। দেহের যৌবন এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তর করা যায় না; কিন্তু এক মনের যৌবন অন্যের মনে সঞ্চালন করা সম্ভব। দেহের যৌবন ও মনের যৌবনের মধ্যে তাই পার্থক্য অনেক। দেহের যৌবন ক্ষণস্থায়ী আর মনের যৌবন চিরস্থায়ী। যৌবনকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। প্রত্যেকের উচিত যৌবনকে সমাদর করা। যৌবনের কপালে রাজটিকা পরানাের ক্ষেত্রে কোন বিতর্ক থাকা অনুচিত। যদি সমাজ দেহে যােবন শক্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় তবে সমাজ পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পাবে। যে সমাজে যৌবন আছে সেই সমাজ প্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তার গতি কেউ রােধ করতে পারে না। আমরা যৌবনসমৃদ্ধ সেই সমাজই প্রত্যাশা করি।

যৌবনে দাও রাজটীকা প্রবন্ধের বিশেষ কিছু প্রশ্ন উত্তর mcq

প্রশ্নঃ যৌবনে দাও রাজটিকা কোন জাতীয় রচনা?

উত্তরঃ যৌবনে দাও রাজটিকা প্রবন্ধটি প্রবন্ধ রচনা।

প্রশ্নঃ যৌবনে দাও রাজটিকা প্রবন্ধে প্রকৃত যৌবন বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তরঃ যৌবনে দাও রাজটিকা প্রবন্ধে প্রকৃত যৌবন বলতে কবি মনের যৌবনকে বুঝিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button